Faisal bin Salman Apps

পবিত্র কোরআন ( বাংলা ও আরবি) 1.0
কুরআন শব্দের অর্থ: পাঠ করা, যা পাঠ করা হয়।আরপরিভাষায়-আল্লাহ তা‘আলা জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে সুদীর্ঘ২৩বছরে মানব জাতিরহেদায়াত হিসাবে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তার নাম আলকুরআন। নিম্নেকুরআনেরপরিচয় তুলে ধরা হলো:১. কুরআন আল্লাহর কিতাব :আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে মানবতার হেদায়াতের জন্য যেসব কিতাবঅবতীর্ণকরেছেন সেগুলোকে আসমানী কিতাব বলা হয়। আলকুরআন হলোসর্বশেষআসমানীকিতাব, যা বিশ্বমানবতার জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে। আল্লাহতা‘আলাবলেন :﴿ وَإِنَّهُۥ لَتَنزِيلُ رَبِّ ٱلعَٰلَمِينَ﴾ [الشعراء : ١٩٢]অর্থ: ‘‘নিশ্চয় এ কুরআন বিশ্ব জাহানের রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণকরাহয়েছে’’ [সূরা আশ-শু‘আরা-১৯২]।কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব১. কুরআন শিক্ষা ফরয :প্রত্যেক মুসলিমকে কুরআন পড়া জানতে হবে। যে নিজেকে মুসলিম হিসাবেদাবীকরবে তাকে অবশ্যই কুরআন শিক্ষা করতে হবে। কুরআন শিক্ষাকরাএতোগুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, আল্লাহ তা‘আলা কুরআন শিক্ষা করা ফরযকরেদিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:﴿ ٱقۡرَأۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلَّذِي خَلَقَ ١ ﴾ [العلق: ١]অর্থ: ‘পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন’ [সূরা আলাক:১]।কুরআন শিক্ষায় কোন প্রকার অবহেলা করা যাবে না। উম্মাতকে কুরআনশিক্ষারনির্দেশ দিয়ে ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,«تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ ، وَاتْلُوهُ»অর্থ:‘তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তিলাওয়াত কর’ [মুসান্নাফ ইবনআবীশাইবাহ:৮৫৭২]।২.সালাত আদায়ের জন্য কুরআন শিক্ষা:আল্লাহ তা‘আলা ঈমানদার বান্দাহদের উপর প্রতিদিন পাচ ওয়াক্ত সালাতফরযকরেছেন। কুরআন তেলাওয়াত ছাড়া সালাত আদায় হয় না। সালাতআদায়করারজন্যও কুরআন শিখতে হবে। কুরআনে বলা হয়েছে,﴿ فَٱقۡرَءُواْ مَا تَيَسَّرَ مِنَ ٱلۡقُرۡءَانِۚ ﴾ [المزمل:٢٠]অর্থ: ‘অতএব তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়’[সূরাআল-মুযযাম্মিল: ২০]।এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,«لاََ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ».অর্থ: ‘যে ব্যক্তি সূরা ফাতেহা পড়ে না তার সালাতই হয় না’।[সহীহবুখারী:৭৫৬]কুরআন শিক্ষা ও তিলাওয়াতের ফযিলত১. কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সাথে একটি লাভজনক ব্যবসা:কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সাথে একটি লাভজনক ব্যবসা। বিভিন্নব্যবসায়লাভ এবং ক্ষতি দুটিরই সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এখানে লাভ ছাড়াকোনপ্রকার ক্ষতিরঅঙশ নেই। এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَتۡلُونَ كِتَٰبَ ٱللَّهِ وَأَقَامُواْٱلصَّلَوٰةَوَأَنفَقُواْ مِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ سِرّٗا وَعَلَانِيَةٗيَرۡجُونَتِجَٰرَةٗ لَّن تَبُورَ ٢٩ لِيُوَفِّيَهُمۡ أُجُورَهُمۡوَيَزِيدَهُممِّن فَضۡلِهِۦٓۚ إِنَّهُۥ غَفُورٞ شَكُورٞ ٣٠ ﴾ [فاطر:٢٩، ٣١]‘‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে, আমার দেয়ারিজিকথেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে এমনব্যবসারযাকখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণপ্রতিদানদেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরো অধিক দান করবেন। তিনি ক্ষমাশীলওদয়াবান।’’ [সূরাফাতির ২৯-৩০]২. কুরআন পাঠকারী প্রত্যেক হরফের জন্য সওয়াব লাভ করে:কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিরাট সওয়াব অর্জন করার সুযোগ রয়েছে।এরসাথে অনেক উপকারিতাও রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লামবলেছেন,«مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِحَسَنَةٌوَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لَا أَقُولُ الم حَرْفٌوَلَكِنْأَلِفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ»‘‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদানকরাহয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে,আলিফ-লাম-মীমএকটিহরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটিহরফ।’’ [সুনানআত-তিরমিযি:২৯১০]৩. কুরআনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সর্বোত্তম ব্যক্তি:কুরআন শিক্ষার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করাযায়।উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসেরাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন,«خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ»অর্থ: ‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে কুরআন শিক্ষাকরেও অপরকে শিক্ষা দেয় ’’ [বুখারী: ৫০২৭]।৪. কুরআন তিলাওয়াতকারীর পক্ষে সুপারিশ করবে :কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াতকারীর পক্ষেসুপারিশকরবে।এটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহুআনহু থেকেবর্ণিত হাদীসেরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন:তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর, কারণ, কুরআন কেয়ামতের দিনতিলাওয়াতকারীরজন্য সুপারিশ করবে’ [মুসলিম: ১৯১০]।[http://islamshikka.blogspot.com/p/blog-page_10.html]
কোরআন ( বাংলা, ইংরেজি ও আরবি) 1.0
কুরআন শব্দের অর্থ: পাঠ করা, যা পাঠ করা হয়।আরপরিভাষায়-আল্লাহ তা‘আলা জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে সুদীর্ঘ২৩বছরে মানব জাতিরহেদায়াত হিসাবে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তার নাম আলকুরআন। নিম্নেকুরআনেরপরিচয় তুলে ধরা হলো:১. কুরআন আল্লাহর কিতাব :আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে মানবতার হেদায়াতের জন্য যেসব কিতাবঅবতীর্ণকরেছেন সেগুলোকে আসমানী কিতাব বলা হয়। আলকুরআন হলোসর্বশেষআসমানীকিতাব, যা বিশ্বমানবতার জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে। আল্লাহতা‘আলাবলেন :﴿ وَإِنَّهُۥ لَتَنزِيلُ رَبِّ ٱلعَٰلَمِينَ﴾ [الشعراء : ١٩٢]অর্থ: ‘‘নিশ্চয় এ কুরআন বিশ্ব জাহানের রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণকরাহয়েছে’’ [সূরা আশ-শু‘আরা-১৯২]।কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব১. কুরআন শিক্ষা ফরয :প্রত্যেক মুসলিমকে কুরআন পড়া জানতে হবে। যে নিজেকে মুসলিম হিসাবেদাবীকরবে তাকে অবশ্যই কুরআন শিক্ষা করতে হবে। কুরআন শিক্ষাকরাএতোগুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, আল্লাহ তা‘আলা কুরআন শিক্ষা করা ফরযকরেদিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:﴿ ٱقۡرَأۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلَّذِي خَلَقَ ١ ﴾ [العلق: ١]অর্থ: ‘পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন’ [সূরা আলাক:১]।কুরআন শিক্ষায় কোন প্রকার অবহেলা করা যাবে না। উম্মাতকে কুরআনশিক্ষারনির্দেশ দিয়ে ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,«تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ ، وَاتْلُوهُ»অর্থ:‘তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তিলাওয়াত কর’ [মুসান্নাফ ইবনআবীশাইবাহ:৮৫৭২]।২.সালাত আদায়ের জন্য কুরআন শিক্ষা:আল্লাহ তা‘আলা ঈমানদার বান্দাহদের উপর প্রতিদিন পাচ ওয়াক্ত সালাতফরযকরেছেন। কুরআন তেলাওয়াত ছাড়া সালাত আদায় হয় না। সালাতআদায়করারজন্যও কুরআন শিখতে হবে। কুরআনে বলা হয়েছে,﴿ فَٱقۡرَءُواْ مَا تَيَسَّرَ مِنَ ٱلۡقُرۡءَانِۚ ﴾ [المزمل:٢٠]অর্থ: ‘অতএব তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়’[সূরাআল-মুযযাম্মিল: ২০]।এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,«لاََ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ».অর্থ: ‘যে ব্যক্তি সূরা ফাতেহা পড়ে না তার সালাতই হয় না’।[সহীহবুখারী:৭৫৬]কুরআন শিক্ষা ও তিলাওয়াতের ফযিলত১. কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সাথে একটি লাভজনক ব্যবসা:কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সাথে একটি লাভজনক ব্যবসা। বিভিন্নব্যবসায়লাভ এবং ক্ষতি দুটিরই সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এখানে লাভ ছাড়াকোনপ্রকার ক্ষতিরঅঙশ নেই। এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَتۡلُونَ كِتَٰبَ ٱللَّهِ وَأَقَامُواْٱلصَّلَوٰةَوَأَنفَقُواْ مِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ سِرّٗا وَعَلَانِيَةٗيَرۡجُونَتِجَٰرَةٗ لَّن تَبُورَ ٢٩ لِيُوَفِّيَهُمۡ أُجُورَهُمۡوَيَزِيدَهُممِّن فَضۡلِهِۦٓۚ إِنَّهُۥ غَفُورٞ شَكُورٞ ٣٠ ﴾ [فاطر:٢٩، ٣١]‘‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে, আমার দেয়ারিজিকথেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে এমনব্যবসারযাকখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণপ্রতিদানদেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরো অধিক দান করবেন। তিনি ক্ষমাশীলওদয়াবান।’’ [সূরাফাতির ২৯-৩০]২. কুরআন পাঠকারী প্রত্যেক হরফের জন্য সওয়াব লাভ করে:কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিরাট সওয়াব অর্জন করার সুযোগ রয়েছে।এরসাথে অনেক উপকারিতাও রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লামবলেছেন,«مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِحَسَنَةٌوَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لَا أَقُولُ الم حَرْفٌوَلَكِنْأَلِفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ»‘‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদানকরাহয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে,আলিফ-লাম-মীমএকটিহরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটিহরফ।’’ [সুনানআত-তিরমিযি:২৯১০]৩. কুরআনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সর্বোত্তম ব্যক্তি:কুরআন শিক্ষার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করাযায়।উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসেরাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন,«خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ»অর্থ: ‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে কুরআন শিক্ষাকরেও অপরকে শিক্ষা দেয় ’’ [বুখারী: ৫০২৭]।৪. কুরআন তিলাওয়াতকারীর পক্ষে সুপারিশ করবে :কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াতকারীর পক্ষেসুপারিশকরবে।এটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহুআনহু থেকেবর্ণিত হাদীসেরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন:তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর, কারণ, কুরআন কেয়ামতের দিনতিলাওয়াতকারীরজন্য সুপারিশ করবে’ [মুসলিম: ১৯১০]।[http://islamshikka.blogspot.com/p/blog-page_10.html]
স্বাস্থ্য সমস্যা ও সমাধান 1.0
আপ্লিকেশনটি আপনাদের স্বাস্থ্যসমস্যা-সমাধাননিয়ে কিছু ধারণা দেওয়ার জন্য।